Version 1.0
Eye Donation BD is an online platform to spread awareness about eye donation in Bangladesh. People can registar as an eye donor from home by using this platform.
মাত্র ১০ মিনিটে আপনি আপনার জীবনের একটি মহৎ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যা সর্বোচ্চ দুইজন মানুষের জীবন পরিবর্তন করে দিতে পারে… ১০ মিনিটের জন্য আপনি আপনার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে কিংবা চোখ বন্ধ রেখে পাশের ঘর থেকে এক গ্লাস পানি নিয়ে আসুন, বা রান্নাঘর থেকে খাবার নিয়ে আসুন, বা কাউকে মোবাইলে কল করার চেষ্টা করুন, বা আলমারি থেকে আপনার পছন্দের কাপড়টি খুঁজে বের করুন… ('Ten Minutes in Darkness' থিওরি...)
কি? অসম্ভব মনে হচ্ছে? নিজেকে অসহায় লাগছে? দম বন্ধ হয়ে আসছে?
কিন্তু আপনি তো ঠিক ১০ মিনিট পরেই পৃথিবীর সৌন্দর্য আবার উপভোগ করতে পারবেন, দেখতে পারবেন আপনার প্রিয় মানুষদের মুখ, করতে পারবেন জীবনধারণের জন্য সকল প্রয়োজনীয় কাজ… কিন্তু বাংলাদেশের এখনো ১৪ লক্ষ মানুষ আছেন যারা পৃথিবীর আলো থেকে বঞ্চিত (এর মাঝে ৫ লাখ মানুষ চোখের কর্ণিয়াজনিত জটিলটায় এখন অন্ধ)… প্রতি বছর আরো ৪০ হাজার মানুষ অন্ধত্বের শিকার হচ্ছে… হ্যাঁ, সংখ্যাটা আতঙ্কিত হবার মতই…
কিন্তু এর সমাধান আছে আমার-আপনার কাছেই…
এর সমাধান হল “মরণোত্তর চক্ষুদান”… মরণোত্তর চক্ষুদান হলো মৃত্যুর পর কর্নিয়া দান করার জন্য জীবিত অবস্থায় অঙ্গীকার করা, অর্থাৎ আমরা জীবিত অবস্থায় অঙ্গীকার করবো যে, আমাদের মৃত্যুর পর আমরা আমাদের চোখ অন্ধ মানুষদের দান করে যাবো… আমাদের মৃত্যুর পর রেখে যাওয়া এই চোখ জোড়া দুইজন অন্ধ মানুষকে পৃথিবীর আলো দেখাবে, বেঁচে থাকতে শেখাবে… ঠিক একদম সুস্থ মানুষের মত… কর্ণিয়া ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে এই ৫ লাখ অন্ধ মানুষকে ম্যাজিকের মত সুস্থ করে দেয়া সম্ভব... মরণোত্তর চক্ষুদানের মাধ্যমে আপনিও অমর হয়ে থাকবেন অন্যের চোখের মাধ্যমে…
‘Eye Donation BD’ - অ্যাপটির মাধ্যমে মানুষকে চক্ষুদানে সচেতন করা হয়…
► কারা চক্ষুদান করতে পারবেন?
দুই বছর বয়সের উর্ধ্বের যেকোনো মানুষ দুইজন অভিভাবকের অনুমতিসাপেক্ষে মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে পারেন…
মা-বাবা-ভাই-বোন-স্বামী-স্ত্রী-সন্তান (১৮ বছরের উপর) এমন যেকোনো দুইজন অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে মরণোত্তর চক্ষুদানে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়... দুইজন অভিভাবকের অনুমতি নেয়া অবশ্যই জরুরি কারণ মরণোত্তর চক্ষুদাতার মৃত্যুর পর অভিভাবকদের সহযোগিতা ছাড়া চোখ সংগ্রহ সম্ভবপর হয় না… তাই শুরুটা করতে হবে পরিবার থেকে …
► ‘মরণোত্তর চক্ষুদান’ কি বাংলাদেশে অনুমোদিত?
হ্যাঁ… মানব দেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন ২০১৮ সনের ৫নং আইনের ধারা-৫ মোতাবেক বাংলাদেশে মরণোত্তর চক্ষুদান অনুমোদিত… এমনকি আমাদের দেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন… চক্ষুদান প্রক্রিয়াটি সম্পুর্ন বিনামূল্যে হয়… চক্ষুদাতা এবং চক্ষু গ্রহিতা এর মাঝে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন হয় না… কেনাবেচা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং ধর্মীয়ভাবে হারাম…
► ‘মরণোত্তর চক্ষুদান’ এর ব্যাপারে ধর্মীয় বিধান কি বলে?
চক্ষুদানে শ্রদ্ধেয় জাকির নায়েক সাহেবের সমর্থনঃ
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=A_HEpPI3hP0
মুফাচ্ছিরে কোরআন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী সাহেব (পি. এইচ. ডি., গবেষক , আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া) মরণোত্তর চক্ষুদানে সমর্থন করেছেনঃ
https://www.youtube.com/watch?v=5VePW8SDce0
চক্ষুগ্রহনের পর চক্ষুগ্রহিতা সেই চোখ দিয়ে খারাপ কাজ করলে তা চক্ষুদাতার জন্য পাপ হবে না... সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন জাকির নায়েক সাহেবঃ
https://www.youtube.com/watch?v=JgnzbEGbW7Y
► ’Eye Donation BD’ কিভাবে কাজ করবো?
কিছুদিন আগে আমার চোখের একটি অপারেশন হয়েছিল, আমি উপলব্ধি করতে পারছি, চোখ আমাদের এক অমুল্য সম্পদ, সর্বোচ্চ আশীবার্দ এবং জীবনে পাওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার… অন্ধ মানুষেরা কতটা মানবেতর দিন যাপন করে শুধু একবার চিন্তা করে দেখুন!! কিন্তু ‘মরণোত্তর চক্ষুদান’ সেক্টর নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ তেমন কিছু জানে না, পাশাপাশি ভুল ধারণাও রয়েছে…
‘সন্ধানী চক্ষুদান সমিতি’ এর সাথে আমাদের একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে…
’Eye Donation BD’ এ অ্যাপ তৈরি করেছি যা আপনাকে চক্ষুদান বিষয়ক সকল তথ্য জানাতে পারবে… ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মরণোত্তর চক্ষুদাতা হিসাবে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন…
মা-বাবা-ভাই-বোন-স্বামী-স্ত্রী-সন্তান (১৮ বছরের উপর) এমন যেকোনো দুইজন অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে নিচের লিংক থেকে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করুন। সন্ধানী আপনাদের সাথে কথা বলে রেজিস্ট্রেশন অফিসিয়ালি ফাইনাল করে নিবে...
"জীবনের শেষ দান, মরণোত্তর চক্ষুদান..."
- সুব্রত দেব