রক্তশূন্যতায় যেসব খাবার

BoishakhiApps

রক্তশূন্যতায় যেসব খাবার

بهداشت و تناسب اندام
  • 0.00
(0 رای)

نصب رایگان

1000

نصب ها

Android 5.1+

نسخه حداقل

با تبلیغات

تبلیغات

05.11.2017

تاریخ انتشار

تغییرات اخیر:

# Fixed some bugs
# Major theme update
# Performance issue solved

توضیحات:

রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকলে তাকে রক্তস্বল্পতা বা রক্তশূন্যতা বা এনেমিয়া বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে অনেক মানুষই রক্তস্বল্পতা রোগে আক্রান্ত । বিশেষ করে যারা পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত তাদের রক্তস্বল্পতার প্রবণতা বেশি হয়। রক্তস্বল্পতা রোগের চিকিৎসার জন্য প্রথমে পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। যে সব খাবারের রক্তস্বল্পতা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে সেসব খাবার খেতে হবে নিয়মিত। রক্তস্বল্পতা হলে শরীর নিস্তেজ হয়ে আসে, কর্মক্ষমতা লোপ পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই রক্ত শূন্যতায় খাবার এর দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। যে সব খাবারের রক্তস্বল্পতা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে সেসব খাবার খেতে হবে নিয়মিত। শুধু মাত্র পুষ্টিকর কিছু খাবার খেয়েই রক্ত শূন্যতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক রক্তশূন্যতা দূর করে এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে।

রক্তস্বল্পতার লক্ষণ
রক্তস্বল্পতার লক্ষণের মধ্যে রয়েছে অবসন্নতা, ক্লান্তিভাব, বমি, ঘাম হওয়া, মলের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, ছোট শ্বাস, বেশি ঠান্ডা অনুভব করা ইত্যাদি রক্তশূন্যতার লক্ষণ হতে পারে।

আধা কাপ পালং শাক সিদ্ধতে ৩.২ মিলিগ্রাম আয়রন আছে যা নারীদের দেহে ২০% আয়রন পূরণ করে থাকে। টমেটোতে ভিটামিন সি আছে যা অন্য খাবার থেকে আয়রন শুষে নেয়। এছাড়া টমেটোতে বিটা ক্যারটিন, ফাইবার, এবং ভিটামিন ই আছে।

প্রচুর পরিমাণ আয়রন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল হলো ডালিম। এটি দেহে রক্ত প্রবাহ সচল রেখে দুর্বলতা, ক্লান্ত ভাব দূর করে থাকে। নিয়মিত ডালিম খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায়। এমনকি প্রতিদিনের নাস্তায় এক গ্লাস ডালিমের রস খেতে পারেন। বিট আয়রন সমৃদ্ধ খাবার হওয়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি রক্ত স্বল্পতা দূর করে দেয়। এটি লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে এবং দেহে অক্সিজেন সরবরাহ সচল রাখে।

কলিজায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন বি আছে। রক্তস্বল্পতা রোগের প্রধান কারণ দেহে আয়রনের ঘাটতি। তাই রক্তশূন্যতায় ভুগছেন যারা তাদের নিয়মিত খাবার তালিকায় সম্ভব হলে কলিজা রাখা উচিত। খাসি বা গরুর কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের অবশ্যই গরুর কলিজা থেকে দূরে থাকতে হবে।

দুধ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও প্রোটিন যোগাতে সাহায্য করে। দুধে খুব বেশি পরিমাণে আয়রন না থাকলেও এতে প্রায় সব রকমের ভিটামিন আছে। এছাড়াও দুধে আছে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। এই খাদ্য উপাদান গুলো রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে রক্ত শূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে। তাই রক্ত শূন্যতা রোগীদের জন্য নিয়মিত দুধ খাওয়া উপকারী।

আয়রনের ভাল উৎস হল মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ। তাছাড়া ছোট মাছ যেমন শিং মাছ, ইলিশ মাছ, ভেটকি মাছ, টেংরা মাছ ইত্যাদি সব মাছেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই রক্তস্বল্পতা রোগ থেকে দেহকে মুক্ত রাখতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাছ রাখুন।

ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ থাকে। প্রতিদিন আয়রন যুক্ত ফল যেমন আপেল, টমেটো, বেদানা, কলা, আঙ্গুর, কমলা, গাজর ইত্যাদি খেলে রক্তশূন্যতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই সরাসরি আয়রণ গ্রহণ করতে প্রতিদিন ২-৩ টি ফল খেতে ভুলবেন না।

শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ থাকে। বিভিন্ন রকম সবজি যেমন কচু শাক, কচুর লতি, কচু, পালং শাক, বিট, লেটুস, ব্রকোলি, ধনিয়া পাতা এবং পুদিনা পাতা নিয়মিত বেশি করে খেলে রক্তশূন্যতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারণ এই শাক সবজি গুলোতে আয়রনের পাশাপাশি ফলিক এসিড আছে যেগুলো রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

রক্তস্বল্পতা দূর করতে প্রতিদিন মসুর, মুগ কিংবা মাস কলাইয়ের ডাল খেতে পারেন। কারণ এই খাবার গুলিতে প্রচুর ফোলেট পাওয়া যায়। ফোলেট রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফোলেইট সমৃদ্ধ খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরি।

ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। রক্তস্বল্পতা কমিয়ে শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে ডিম খুব উপকারী। ডিমের কুসুমের মধ্যে রয়েছে আয়রন। এটি শরীরে লোহিত রক্তের পরিমাণ বাড়ায়।

যে কোনো ধরনের বাদামই মানবদেহের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়। যে কারণে তরুণদেরকে কাজু বাদাম, হিজলি বাদাম, চীনা বাদাম এবং আখরোট খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে দ্রুতগতিতে।

দুর্বলতা, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, চোখে অন্ধকার দেখা, অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা, বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঝিমঝিম করা, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, কাজকর্মে অনীহা, অনিদ্রা, অল্পতে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, জিহ্বা ও ঠোঁট মসৃণ ও সাদাটে হয়ে যাওয়া, মুখের কোনায় ও জিহ্বায় ঘা হওয়া, নখে ভঙ্গুরতা বা চামচের মতো গর্ত হওয়া, অরুচি, বমি বমি ভাব, হজমে ব্যাঘাত ঘটা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

BoishakhiApps برنامه های دیگر

دانلود