বাইবেল (from Koine Greek τὰ βιβλία, tà biblía, "the books") হল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। বাইবেল (বিবলজ) শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে বা 'পাওযা' গ্রীক বিবলিয়া শব্দ থেকে, যার অর্থ 'একটি পুস্তক'। এটি প্যাপিরাস গাছের ছাল। বাইবেল হচ্ছে শাস্ত্র লিপি বা পুস্তক, ঈশ্বরের বাক্য। বাইবেল হলো ৬৬টি পুস্তকের একটি সংকলন, যা দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত—
৩৯টি পুস্তক সম্বলিত পুরাতন নিয়ম বা ওল্ড টেস্টামেন্ট,
এবং ২৭টি পুস্তক সম্বলিত নতুন নিয়ম বা নিউ টেস্টামেন্ট।
খ্রিস্টধর্মমতে, ১৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪০জন লেখক বাইবেল রচনা করেছিলেন। এরা ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের বাসিন্দা। বাইবেলের মুখ্য বিষয়বস্তু বা কেন্দ্রমণি হলেন যীশু। পুরাতন নিয়ম মূলত হিব্রু ভাষায় লিখিত, তবে দানিয়েল ও ইষ্রা পুস্তক দুটির কিছু অংশ অরামীয় ভাষায় লিখিত। নুতন নিয়ম গ্রিক ভাষায় রচিত। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই বাইবেল লিখেছেন। খ্রিস্টানগণ বিশ্বাস করেন, এই বাইবেল রচনা হয়েছিল খ্রিস্টীয় ত্রিত্ববাদের অন্যতম পবিত্র আত্মার সহায়তায়। পৃথিবীর অনেক ভাষায় বাইবেল অনুদিত হয়েছে।
বাইবেলের বিভিন্ন বিষয়বস্তুর মধ্যে সংগতি কেন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য? বাইবেল ১,৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখা হয়েছিল। এর লেখকরা বিভিন্ন সময়ে বেঁচে ছিলেন এবং বিভিন্ন পটভূমি থেকে এসেছিলেন। কেউ ছিলেন কৃষক, কেউ ছিলেন জেলে এবং কেউ ছিলেন মেষপালক। অন্যেরা ছিলেন ভাববাদী, বিচারক এবং রাজা। সুসমাচার লেখক লূক ছিলেন একজন চিকিৎসক। এর লেখকরা বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসা সত্ত্বেও, বাইবেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সংগতিপূর্ণ।
বাইবেলের প্রথম পুস্তক আমাদের বলে যে, মানবজাতির সমস্যাগুলো কীভাবে শুরু হয়েছিল। শেষ পুস্তক দেখায় যে, পুরো পৃথিবী এক পরমদেশে বা উদ্যানে পরিণত হবে। বাইবেলের সমগ্র বিষয়বস্তু হাজার হাজার বছরের ইতিহাসকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং সেগুলো কোনো-না-কোনোভাবে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য প্রকাশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বাইবেলের এই সংগতি ছাপ ফেলার মতো আর ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি বই সম্বন্ধে আমরা এটাই আশা করব