পৃথিবীতে (obakprithibi) অনেক রহস্যময় জায়গা ও রহস্যময় স্থান আছে যেগুলো সাধারণ জায়গার চেয়ে সম্পূর্ন ভিন্ন। অবাক পৃথিবী র এসব জায়গায় নিউটনের মহাকর্ষণ সূত্র ও কম্পাসও কাজ করে না। যার কারণে এই রহস্যময় পৃথিবী তে ঘটে নানা রকমের অদ্ভুত ঘটনা। প্রখ্যাত ভূতত্ত্ববিদ ইভান স্যান্ডারসন এ রহস্যময় অদ্ভুত জায়গা গুলোর নাম দিয়েছেন ভোরটেঙ্গুলো / obak prithibi যার অর্থ ঘূর্ণিপাক। সাধারণত ঘূর্ণিপাক পানিরই হয়ে থাকে। তবে স্যান্ডারসনের এ ঘূর্ণিপাক পানির নয়, চেতনা-বোধের। তবে বিজ্ঞানী ব্রাড স্টেইজার এ রহস্যময় জায়গা গুলোকে অভিহিত করেছেন উইন্ডো এরিয়া বা অবাক পৃথিবী র অজানা গল্প বলে। এরকমই কিছু অদ্ভুত জায়গা হচ্ছে কুখ্যাত বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, রহস্যদ্বীপ বাল্ট্রা, রহস্যময় সাইলেন্স জোন, ক্যালিফোর্নিয়ার নর্থ শাস্তার অরিজনের একটি বিস্তীর্ণ এলাকা প্রভৃতি। তবে উইন্ডো এরিয়াই হোক আর ভোরটেঙ্ই যাই বলা হোক না কেন বিজ্ঞানীরা অবাক পৃথিবী র এ জায়গাগুলোর অস্বাভাবিকত্ব আর অসামঞ্জস্যতা নিয়ে গবেষণা করেছেন দীর্ঘ দিন ধরে। এ গবেষকদের অন্যতম একজন সাইকোলজিস্ট ড. স্টেনলি কিপার। তার মতে, এই এলাকায় প্রবেশ করলে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে ব্যাপক আচরণগত পার্থক্য দেখা যায়। অনেক সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষকে এখানে এসে উদ্ভট ও অস্বাভাবিক সব আচরণ করতে তিনি দেখেছেন। এখানে পা রাখা মাত্র যে কোনও মানুষেরই মনে হবে, সে ভিন্ন এক চেতনার রহস্য কাহিনী জগতে গিয়ে হাজির হয়েছে। রহস্য গল্প ভরা পৃথিবীতে এ ধরনের বেশকিছু রহস্যময় অঞ্চলের সন্ধান পাওয়া গেছে_ যেখানে মহাকর্ষণ সূত্র প্রায় অকার্যকর। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় তারা এখানে আরও কিছু অদ্ভুত ব্যাপার প্রত্যক্ষ করেন। যেমন সমান উচ্চতাসম্পন্ন দুজন লোক এসব স্থানে গিয়ে পাশাপাশি দাঁড়ালে সামান্য দূর থেকে উত্তর দিকে ঘেঁষে দাঁড়ানো লোকটিকে খানিকটা খাটো বলে মনে হয়। ব্যাপারটি অবিশ্বাস্য সন্দেহ নেই, তবে বিজ্ঞানীরা এর ব্যাখা হিসেবে বলেন, একটি শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ঘূর্ণিপাক কাজ করছে জায়গার ভেতর, যার প্রভাবে এসব অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে যা আজও অজানা রহস্য হয়ে আছে। এসব আজব ঘটনা ভোরটেঙ্গুলো ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও ঘটতে দেখা যায় না। এখানে কম্পাসের নির্দেশক কোনও একটি জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আরও আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে পুরো এলাকায় কোনও জীবজন্তু নেই, নেই কোনও কীটপতঙ্গও।
আজকাল ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা এমন সব শিক্ষামূলক গল্প বা রহস্য কাহিনী জাতিয় বই খুব একটা পড়েনা বল্লেই চলে। তারা এখন পড়ে বাংলা গোয়েন্দা গল্প , ভালোবাসার গল্প, ঈশপের গল্প এবং গোপাল ভাড় জাতীয় bangla golpo books । মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা যখন ছোট ছিলাম সেই আশির দশকে কিন্তু এমনি সব ইসলামিক বই , ইসলামের ইতিহাস ও বিভিন্ন সব Mysterious World Bangla বাংলা গল্পের বই আর হুমায়ূন আহমেদের মিছির আলি পড়তাম। বর্তমান সময়ে আমাদের কচি কচি সোনামণিদের শিশু শিক্ষা দেয়া হয় বিভিন্ন ভুলে ভরা আজগুবি সব গল্প যা বাস্তব জীবনে কোন কাজেই আসবেনা। আর স্কুল কলেজের ছাত্র - ছাত্রীরা এমন সব অপশিক্ষায় মনোনিবেশ করছে যেমন - সেক্স পজিশন নিয়ে মাতামাতি, কিভাবে একটি মেয়ে পটানোর উপায় জানা যায়, আরও আছে মেয়ে পটানোর মন্ত্র, মেয়ে পটানো, যাদু টোনা , তন্ত্র মন্ত্র - যাদু মন্ত্র ইত্যাদি। নিয়ম হচ্ছে যে কোনও শিশুর জন্য তার আদর্শ লিপি পড়ায় যে বর্ণমালা শিশু শিক্ষা আছে তা সঠিক ভাবে আয়ত্ত করা। যাতে করে তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়।
আমাদের এই জানা অজানা তথ্য অ্যাপটি ডাউনলোড করুন - আর ৫ * স্টার রেটিং দিন ও সকলের সাথে শেয়ার করুন ।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.adventureapps.mysteriousworld