Completely new UI interface. Smoother user experience.
চাণক্য ছিলেন একজন প্রাচীন ভারতীয় গুরু (শিক্ষক), দার্শনিক ও রাজ-উপদেষ্টা। তিনি প্রাচীন তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতির অধ্যাপক ছিলেন। তিনি মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের উত্থানে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেন। তিনিই তরুণ চন্দ্রগুপ্তকে শিক্ষা দিয়েছিলেন। মৌর্য সাম্রাজ্য ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসে প্রথম সর্বভারতীয় সাম্রাজ্য।
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে বলে যাওয়া এই সব কথা আজকের দিনের মানুষেরও পথ চলার পাথেয় হয়ে রয়েছে। প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে চাণক্যের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা। সেই কবে চতুর্থ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে এই দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক ও রাজ পরামর্শদাতা তাঁর অমূল্য পরামর্শ দিয়ে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি লিখে গিয়েছিলেন বই। তাঁর ‘অর্থশাস্ত্র’ ও ‘চাণক্য নীতি’ গ্রন্থ দু’টি আজকের সামাজিক ও আর্থিক জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি জ্যোতিষী ছিলেন না, কিন্তু মানুষের স্বভাব ও চরিত্র বিচার করে বলে দিতেন ভবিষ্যতের কথা। তাঁর সেই কথাগুলিই পরবর্তীকালে ‘চাণক্য নীতি’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
চাণক্য-নীতির প্রাসঙ্গিকতা আজও প্রশ্নাতীত। কৌটিল্য বিষ্ণুগুপ্ত চাণক্য স্বয়ং এই নীতি রচনা করেছিলেন কি না, সে কথা অবান্তর। এই নীতিমালায় আসলে প্রতিফলিত হয়েছে শত শত বছরের ভারতীয় প্রজ্ঞা। যে কোনও সংকটে, যেকোনও সমস্যায় চাণক্যনীতির সরামর্শ রয়েছে। কোনও বিশেষ কালের প্রেক্ষিতে এই নীতীমালাকে দেখা যাবে না। আজ, এই কর্পোরেট-বিশ্বেও চাণক্য-নীতি সমান কার্যকর বলেই মনে করেন ম্যনেজমেন্ট গুরুরা।