- বাগমুক্ত করা হয়েছে এবং UI উন্নত করা হয়েছে
বৈশাখের শুরুতেই এবার বৃষ্টিও হচ্ছে এলোমেলো, গরমও পড়ছে বেশি বেশি। কাজেই এবারের গ্রীষ্মের তীব্র খরতাপের জন্য আগেভাগেই সাবধান হয়ে যেতে হবে। শীতল থাকার আয়োজনে কার্পণ্য করলে চলবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ কাজে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ঠাণ্ডা ও পুষ্টিকার পানীয়। বিশেষ করে হিট স্ট্রোক সামলাতে দেহকে সব সময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে। প্রতিদিন ১০-১২ গ্লাসের কম পানি খেলে হবে না। এ ছাড়াও আরো কিছু পানীয়র কথা বলা হলো। এগুলো নিয়মিত খেলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকবে শূন্যের কোঠায়। গরমে আরামও লাগবে বেশ।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের খাবার
শরীরটাকে চাঙ্গা করে এমন যেকোনো পানীয় ও খাবার বেছে নিতে পারেন। ঘামের কারণে যে লবণ বেরিয়ে যায় তা পূরণ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর যেকোনো জুস খাদ্য তালিকায় রাখবেন।
আমের জুস
কাঁচা আমের জুস দারুণ স্বাদের। তা ছাড়া শরীরটাকে ঠাণ্ডা রাখে। দেহের বেড়ে ওঠা তাপমাত্রা সামলে নেয়। কাঁচা আমের জুসের সঙ্গে সামান্য লবণ, মরিচ, জিরার গুঁড়া আর বিশুদ্ধ পানি মেশাবেন।
লেবু পানি
নতুন করে বলার কিছু নেই। লেবুর শরবত নিয়মিত খেতে হবে। লেবু-পানির চিনি গরমে দেহের গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখে। গরমের দিনগুলোতে দিনে দুই বার এই পানীয় খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। এই শরবতে রয়েছে দেহকে হাইড্রেটেড রাখার উপাদান। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর এটি।
ডাব বা নারকেলের পানি
উপাদেয় ও পুষ্টিকর। প্রতিদিন অন্তত দুটি ডাব বা নারকেলের পানি পান করুন। দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে। আবার দেহে পানির অভাবও থাকবে না।
পেঁয়াজ
হয়তো ভাবছেন, এ তালিকায় আবার পেঁয়াজ আসে কোত্থেকে? এতে আছে দেহকে ঠাণ্ডা করার উপাদান। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর পেঁয়াজ। তাই তরকারি, সালাদ ও অন্যান্য খাবারের সঙ্গে পেঁয়াজ খান।
বাটার মিল্ক
হিট স্ট্রোক থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বাটার মিল্ক এক অনন্য খাবার। এটা হজমেও সহায়ক। অন্ত্রে পিএইচ এর মাত্রাও ঠিকঠাক রাখতে বেশ কাজের।
বেলের শরবত
আরেকটি জনপ্রিয় পানীয় বেলের শরবত। গ্রীষ্মের গরমে দারুণ কাজের। হিট স্ট্রোক থেকে নিরাপত্তা দেবে বেলের শরবত। গুড়, জিরার গুঁড়া, বিট লবণ মিশিয়ে একে মুখরোচক করতে পারেন। এই শরবত ফাইবার আর পুষ্টিতে পূর্ণ। অন্ত্রের জন্যেও ভালো।