# Fixed some bugs
# Major theme update
# Performance issue solved
টিভি পর্দায় বাহারি খাবারের বিজ্ঞাপনে কারও খিদে বাড়ুক আর না বাড়ুক, শিশুরা কিন্তু তাদের মগজে চিপস, চকলেট আর পিৎজার মজাদার প্রলোভনটি জমিয়ে রাখে। তাইতো রাস্তায় বের হলে তারা বলে ওঠে চকলেট দাও, বার্গার দাও, কুড়কুড়ে অথবা পটেটো চিপস দাও। তাদের এই আবদারে না করলে পরের দৃশ্য যে কী হতে পারে তা সহজেই আন্দাজ করা যায়। তাই হরহামেশাই শিশুদের এই ইমোশনাল আবদারের নির্মম শিকার হতে হয়। নির্মম এ কারণে যে, শিশুর নাছোড়বান্দা অনুরোধে ওর হাতে যা তুলে দেয়া হয় তার পরিণতি অনেক ভয়াবহ। কেননা বিজ্ঞাপনে অনেক চটকদার কথা থাকলেও প্যাকেটজাত এসব পণ্যে কোন পুষ্টি থাকে না। এসব পুষ্টিহীন ‘জাঙ্ক ফুড’ শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশে এক বড় অন্তরায়।
শিশুর প্রথম ৫ বছরে প্রায় ৮৫ ভাগ বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটে। ফলে শিশু বাড়ন্ত অবস্থায় ভাষা, রঙ, শব্দ, সংখ্যা সহজে বুজতে পারে। শুধু তাই না, শিশু সামাজিক মেলামেশা ও ছোট-খাটো দক্ষতাও শিখতে শুরু করে। শিশুর এই বুদ্ধিবিকাশে অনেকগুলো কারণ সহায়ক হিসাবে কাজ করে। পুষ্টিকর খাবার তার মধ্যে অন্যতম। সুষম খাবার শিশুর শারীরিক ও মানসিক গড়নে অনিবার্য বিষয়। শিশুর জন্য অনিবার্য এই খাদ্য দর্শন আমরা অনেকেই জানি, কিন্তু বাস্তবায়ন যে কত কঠিন তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানে।
তাই বলে কি হাল ছাড়া যাবে? কখনোই না। কেননা খাদ্য প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান ক্লান্তিহীনভাবে চটকদার বিজ্ঞাপনের অজুহাতে যদি আপনার শিশুর হাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার তুলে দিতে সফল হয়, তাহলে আপনি সন্তানের স্বাস্থ্যময় জীবনের জন্য ধৈর্যহারা হবেন কেন?
শিশুর বাড়ন্ত অবস্থায় শরীর আর ব্রেইন দুটোর জন্য যথাযথ খাবার দরকার। বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল-সবজি, মাছ কিংবা আঁশ জাতীয় খাবার শিশুর শরীর গঠনতো বটেই বুদ্ধিও বাড়ায়। আমাদের হাতের কাছে সহজেই অনেক খাবার পাওয়া যায়। অভিভাবকদের জানা দরকার কোন খাবারগুলোর পুষ্টিমান অনেক বেশি শিশুবান্ধব।
শিশুর মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সবুজ শাক সবজির বিকল্প নেই। ভিটামিন এবং ফলিক এসিড সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি নিয়মিত রাখুন খাবার টেবিলে। খেয়াল করুন কী ধরনের সবজি আপনার শিশু পছন্দ করে। অনেক সবজি না চাপিয়ে প্রতিদিন অল্প অল্প করে শিশুকে সবজি খেতে দিন। সবজিতে আরও আছে ফাইবার যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ব্লাড পেশার ও কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে ব্রকলি, ফুলকপিতে আছে নানা উপকারী উপাদান। শসা-টমেটো শিশুরা পছন্দ করলে তাই এগিয়ে দিন।
শিশুর পানি পানে আমাদের অবহেলার অন্ত নেই। অথচ পর্যাপ্ত পানি পানের অভাবে শিশুর ইউরিন কিংবা পানিশূন্যতা সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে ক্লান্তিতে শিশু আলসে হয়ে পড়ে। নিয়মিত পানি পানে শিশুর মধ্যে গতি আসবে। পানি শরীর থেকে নানারকম বাজে টক্সিক বের করে দেয়।