# Bug Fixed
ফল শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আমাদের প্রতিদিনই কোন না কোন ফল খাওয়া উচিত। তবে আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে ফল খেতে হবে। দেখা গেছে অনেকেই ফলের খোসা ফেলে দেন। অথচ ফলের খোসাতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও থনিজ পদার্থ। আমাদের অতি পরিচিত কয়েকটি ফল নিয়ে কথা বলবো যেগুলোর খোসা আপনার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির ভান্ডার হতে পারে।
আপেল
অনেকের পছন্দের তালিকায় থাকা এই ফলে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। অনেকেই খোসাসহ ফলটি খেলেও খোসাসহ খাওয়ার উপকারিতা সিংহভাগেরই অজানা।আপেলের খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আলৎঝাইমার’স রোগ ও অন্যান্য ক্ষয়জনীত সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে। খোসাতে আঁশ ও ভিটামিনও থাকে প্রচুর, যা স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। আপেলের খোসাতে থাকা আরেকটি উপাদানের নাম ‘ট্রাইটারপেনোইডস’, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
পেয়ারা
পেয়ারার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ আছে। তাই পেয়ার খোসা ফেলে দেবেন না। খেয়ে ফেলবেন পুরোটাই।
আমড়া
আমাদের অতি পরিচিত ফল আমড়াতে রয়েছে ভিটামিন সি সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ। ভবিষ্যতে আমড়া খাওয়ার সময় খোসা ফেলে দেবেন না।
নাশপাতি
এই ফলের খোসা ছাড়ালে হারাতে হবে আঁশ ও পুষ্টিগুণের অনেকটাই। ফলটির মোট পুষ্টি ও আঁশের প্রায় অর্ধেকটাই থাকে এর খোসায়। এছাড়াও থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ড ও প্রদাহরোধী উপাদান। তাই খোসাসহ ফলটি খাওয়াই সবচাইতে ভালো।
সফেদা
খোসাসহ সফেদা খাওয়ার রয়েছে নানান স্বাস্থ্যগুণ। সফেদার খোসায় থাকা পুষ্টি উপাদান ‘মিউকাস লাইনিং’ বা শ্লেষ্মার আস্তরণের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। পটাশিয়াম, লৌহ, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ হওয়ার এটি হজমক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আম
আমের খোসায় থাকে চর্বি পোড়াতে সহায়ক ও চর্বি কোষ তৈরি রোধ করে এমন উপাদান। আরও থাকে ক্যারোটিনয়েড, পলিফেনল, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স, পলিআনস্যাচারেইটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা ক্যান্সার, ডায়বেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আমের খোসা রান্না করে অথবা শুধু খোসা চিবিয়ে খেতে পারেন। ফল ও খোসা একসঙ্গে খাওয়ার আরেকটি উপায় আঁচার বানিয়ে খাওয়া।
মনে রাখতে হবে, খোসাসহ খাওয়ার আগে ফলটি অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।