বাগমুক্ত করা হয়েছে এবং UI উন্নত করা হয়েছে
পেটে বা বাহুতে মেদ জমেছে, এমন অভিযোগ অনেকের মুখেই শোনা যায়। শুধু বেশি খাবার খাওয়ার জন্যই শরীরে মেদ জমে তা কিন্তু নয়, আমাদের কিছু বদ অভ্যাসই এর জন্য দায়ী।
খাওয়া ছাড়া মেদ জমার কারণ
খাওয়া ছাড়া মেদ জমার অন্য কারণগুলো হলো, যেমন : অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার, অপরিমিত ঘুম, সোডা, সফট ড্রিঙ্কস বা অ্যালকোহল সমৃদ্ধ পানীয় নিয়মিত পান করা, পরিমিত পানি পান না করা, মানসিক চাপ, চিন্তা, শরীরচর্চা না করা, রাতে দেরি করে খাওয়ার কারণেও মেদ জমে।
বিশেষজ্ঞদের মতে
শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমলে তা হৃৎপিণ্ড, শ্বাসযন্ত্র, গলব্লাডার এমনকি মস্তিস্কও ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। এতে রক্তে চর্বি মাত্রা বেড়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক, ডিমেনশিয়া (মস্তিকের রোগ), ডায়াবেটিক ও ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মেদ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।
স্বল্প খরচে মেদ ঝরানো ক্রিম
বাজারে মেদ কমানোর বিভিন্ন ব্রান্ডের নামিদামি ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়। যা ব্যবহারে নাকি দ্রুত মেদ কমে যায়! এমনটাই দাবি করা হয় বিজ্ঞাপনে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলেন এগুলো ব্যবহার করা খুবই ক্ষতিকর।বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ঘরেই স্বল্প খরচে মেদ ঝরানো জাদুকরী ক্রিম তৈরি করা সম্ভব! যা মাত্র ৭ দিনেই আপনার পেট ও বাহুর চর্বি কমিয়ে দেবে। এছাড়া এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তাহলে দেরি কেন? আসুন ক্রিম তৈরির প্রস্তুত প্রণালী জেনে নিই :
যা যা লাগবে
১০০ এম এল বেবি ক্রিম (ভালো ব্রান্ডের নেবেন), ২০ ফোঁটা অরেঞ্জ বা লেমন এসেনশিয়াল অয়েল, ২-৫ ফোঁটা দারুচিনির এসেনশিয়াল অয়েল।
প্রস্তুত প্রণালী
একটি কাঁচের জারে বেবি ক্রিম নিন। এর সঙ্গে বাকি দুটি এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করে মিশিয়ে নিন। এরপর ১২ ঘণ্টা ক্রিমটি এভাবেই রেখে দিন। নির্দিষ্ট সময় পর আরও একবার ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার তৈরি হয়ে গেল আপনার মেদ ঝরানো ক্রিম।
ব্যবহার
প্রতিদিন গোসলের পর শরীরের যেসব স্থানে মেদ কমাতে চান, সেসব জায়গায় ক্রিমটি ভালো করে ম্যাসাজ করুন। বেবি ক্রিম সবার জন্য নিরাপদ। আর কমলার এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকের নিচে জমে থাকা মেদ কমাতে সাহায্য করে। আর দারুচিনির এসেনশিয়াল অয়েল মেদ ঝরায় খুব সহজেই। ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের কাজও করবে এই ক্রিমটি।
সাবধানতা
এই ক্রিমটি এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। এরপর নতুন করে তৈরি করতে হবে। ক্রিমটি সূর্যের আলো থেকে দূরে সরিয়ে ঠাণ্ডা জায়গায় রেখে ব্যবহার করুন।