বাগমুক্ত করা হয়েছে এবং UI উন্নত করা হয়েছে
প্রথমবারের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন করে ব্যাক্টেরিয়ার তালিকা তৈরি করেছে। যার মাধ্যম ওষুধ কোম্পানিগুলো বুঝতে পারবে কি ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক তাদের তৈরি করতে হবে। গত সোমবার তারা এ তালিকায় ১২টি ব্যাকটেরিয়াকে হুমকি বলে চিহ্নিত করেছে। এগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করেছে। তীব্র, সর্বোচ্চ ও মাঝারি।
অ্যন্টিবায়োটিকের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে
হু-এর অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর জেনারেল ডাক্তার মেরি পল কিনে জানান, খুব দ্রুত মানুষের মধ্যে অ্যন্টিবায়োটিকের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। কিন্তু এর জন্য যে নতুন ওষুধ তৈরি করা প্রয়োজন তা কেউ ভাবছে না। এ জন্য হু এই তালিকা তৈরি করে সবাইকে সাবধান করতে চায়। যাতে করে বাজারে খুব তাড়াতাড়ি ওষুধের কোম্পানিগুলো নতুন ওষুধ আনার ব্যবস্থা করে।
তিন ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার অবস্থাকে তীব্র ধরা হয়েছে।
অ্যসিনেটোব্যাকটের বাউমাননি ব্যাকটেরিয়া
১. অ্যসিনেটোব্যাকটের বাউমাননি ব্যাকটেরিয়া, যা হাসপাতালের রোগীদের ইনফেকশনের কারণ। এর মধ্যে নিউমোনিয়া, ক্ষত ও রক্তের ইনফেকশনও রয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিকে এদের কিছুই হচ্ছে না।
সুডোমোনাস অরুজিনোসা
২. সুডোমোনাস অরুজিনোসা, যা ত্বকের র্যাশ ও কানের ইনফেকশনের জন্য দায়ী। অসুস্থ মানুষের নিউমোনিয়া ও রক্তের ইনফেকশনের জন্যও দায়ী এই ব্যাক্টেরিয়া।
এন্টারোব্যাক্টেরিয়াশি
৩. এন্টারোব্যাক্টেরিয়াশি, যা মানুষের অন্ত্রে বাস করে। কার্বোপেনিম, সেফালোস্পেরিনের মত অ্যান্টিবায়োটিক এর কাছে হার মানে।
ব্যাক্টেরিয়াগুলো কি পরিমাণের সহনশীল
এই তালিকায় টিউবারক্লোসেসিস ব্যাক্টেরিয়াকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। এটি সর্বোচ্চের তালিকাতে রাখা হয়েছে। যদিও এ সমস্যা দূর করার জন্য নতুন অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবন করা ব্যয়সাপেক্ষ কাজ।
ব্যাক্টেরিয়াগুলো কি পরিমাণের সহনশীল, এর ফলে কি পরিমাণের মানুষ মারা যাচ্ছে, হাসপাতালের বাইরে কি পরিমাণ এই ব্যাক্টেরিয়ার শিকার হচ্ছে এর ওপর নির্ভর করে শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ ঝুঁকির তালিকায় যে ছয় ব্যাক্টেরিয়াকে রাখা হয়েছে তাদের ঠেকাতে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন। এর মধ্যে গনোরিয়ার ব্যাক্টরিয়াও আছে।
পরবর্তী তিন ব্যাক্টেরিয়াকে মাঝারি ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে। এই ব্যাক্টেরিয়াগুলো ধীরে ধীরে অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধী হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে স্ট্রেপটোককাসও আছে যা নিউমোনিয়া, কান ও সাইনাসের ইনফেকশন, মেনিনজাইটিস ও রক্তের ইনফেকশনের জন্য দায়ী।
বিশেষজ্ঞরা এই তালিকা নিয়ে আশাবাদী। নতুন অ্যান্টিবায়োটিক গবেষণা ও উদ্ভাবনে এই তালিকা বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে তারা মনে করছেন।