পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক সুলতান সুলেমান খান। sultan suleiman kosem the story in bangla ইতিহাস আশ্রয়ী এই উপন্যাসের মূল ভিত্তি অটোমানদের বা সুলতান সুলেমান এর ইতিহাস ।
যুবরাজ থাকালেই তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তখনই সুলতান সুলেমান কোসেম এর সততা ও যোগ্যতার কথা সবখানে আলোচিত হত। তিনি খলিফা হওয়ার পর সারা দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। প্রথম সুলাইমান ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান মুসলিম। দৈনন্দিন জীবনে তিনি ইসলামের অনুশাসনগুলো নিষ্ঠার সাথে প্রতিপালন করতেন। সকল মুসলিম নাগরিক যাতে নিয়মিত নামাজ ও রোজা পালন করে সেই দিকে তাঁর সজাগ দৃষ্টি ছিল। নামাজ ও রোজা পালনে শৈথিল্যের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। প্রথম সুলাইমান আল কুরআনের আটটি খন্ড নিজের হাতে কপি করে সুলাইমানিয়া মসজিদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। তিনি কা’বারও সংস্কার সাধন করে।
কারও কাছে উসমানিয়া সাম্রাজ্য আবার কারও কাছে অটোমান সাম্রাজ্য। পৃথিবীজুড়ে তুরস্কের এই সাম্রাজ্যের রাজত্ব ছিল প্রায় সাতশ বছর। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মুসলিম সাম্রাজ্যও ছিল এটি। আর সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ ছিল সুলতান সুলেমানের নেতৃত্বে ষোড়শ থেকে সপ্তাদশ শতাব্দী। ইউরোপীয়দের কাছে ‘সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ খ্যাত সুলতান সুলেমান প্রকৃত অর্থেই পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা একজন শাসক ছিলেন। বাবা প্রথম সেলিমের উত্তরাধিকারী হিসেবে সিংহাসনে আরোহণের আগে মানিসাসহ তিনি রাজ্যের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপরই অটোমান সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত ক্ষমতা তোপকাপি প্রাসাদের হাতছানি। ক্ষমতার টানাপড়েনে ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা, ভাই-সন্তান হত্যা, দাসপ্রথা আর হারেমের নানা পরিক্রমা ছাপিয়ে এগিয়ে গেছে সুলেমানের শাসনকাল। তার শাসনামলেই হারেমের দাসী রোলাক্সেনা হয়ে ওঠেন সুলতানের প্রিয় হুররেম। বিশ্বজুড়ে এ এক বিরল কাহিনী। এই কাহিনী নিয়ে নির্মিত তুরস্কের জনপ্রিয় সিরিজ ‘মুহতেশেম ইউযিয়েল’ বাংলাতেও প্রচারিত হচ্ছে একটি টিভিতে। বিতর্ক থাকলেও এর জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী অতুলনীয়।