ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার
আধুনিক বিশ্বে মানুষ স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, , হার্ট এটাক এবং ক্যান্সার সহ নানা রকম অসুখে ভুগছে। এই সব অসুখের মধ্যে ক্যান্সারের এখনো পর্যন্ত ভালো কোন মেডিসিন তৈরী হয়নি।
যার ফলে প্রতি বছর ৮ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষা করে এই জটিল রোগটির কিছু প্রতিরোধক খাদ্য নির্ধারণ করেছেন তবে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আগে তা সমাধান করাই সবচেয়ে বেশি উত্তম হিসেবে বিবেচিত।
বর্তমানে ডাক্তাররা পুষ্টিকর খাদ্যের মাধ্যমেই বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের কথা বলছেন। এমন কিছু খাবার আছে যা মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখা হলে এবং তার সাথে নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব। কিছু খাবার আছে যা খেলে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।
বিশ্বের সমস্ত প্রাণীর শরীর অসংখ্য ছোট ছোট কোষের মাধ্যমে তৈরি। এই কোষগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর মারা যায়। এই পুরনো কোষগুলোর জায়গায় নতুন কোষ এসে জায়গা করে নেয়।
সাধারনভাবে কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে এবং নিয়মমতো বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়। সাধারনভাবে বলতে গেলে যখন এই কোষ গুলো কোনও কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখনই ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়। একেই টিউমার বলে।
এই টিউমার বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই ক্যান্সার বলে। বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজনক্ষম হয়ে বৃদ্ধি পাওয়া কলাকে নিয়োপ্লাসিয়া (টিউমার) বলে, এবং সেরকম ক্রিয়া যুক্ত কোষকে নিয়োপ্লাস্টিক কোষ বলে।
নিওপ্লাস্টিক কোষ আশেপাশের কলাকে ভেদ করতে না পারলে তাকে বলে নিরীহ বা বিনাইন টিউমার। বিনাইন টিউমর ক্যান্সার নয়। নিওপ্লাসিয়া কলা ভেদক ক্ষমতা সম্পন্ন হলে তাকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা ক্যান্সার, এবং তার অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনক্ষম ভেদক ক্ষমতাইযুক্ত কোষগুলিকে ক্যান্সার কোষ বলে।
অনেক ক্যান্সার প্রথমে বিনাইন টিউমার হিসাবে শুরু হয়, পরে তার মধ্যেকার কিছু কোষ পরিবর্তিত (ট্রান্সফর্মেসন) হয়ে ম্যালিগন্যান্ট (অর্থাৎ ভেদক ক্ষমতাযুক্ত) হয়ে যায়।
তবে বিনাইন টিউমার ক্যান্সারে পরিবর্তিত হবেই তার কোন স্থিরতা নেই। কিছু বিনাইন টিউমার সদৃশ ব্যাধি আছে যাতে ক্যান্সার হওয়া অবস্যম্ভাবী - এদের প্রি-ক্যান্সার বলে। নামে বিনাইন অর্থাৎ নিরীহ হলেও বিনাইন টিউমারও চাপ দিয়ে আশেপাশের কলার ক্ষতি করতে পারে।
মেটাস্টাসিস হলো ক্যান্সারের একটি পর্যায়, যাতে ক্যান্সার কোষগুলি অন্যান্য কলাকে ভেদ করে ও রক্ত, লসিকাতন্ত্র (Lymphatic System) ইত্যাদির মাধ্যমে দূরবর্তী কলায় ছড়িয়ে যায়।
ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় অ্যাপটি নিয়ে আমাদের এই বারের আয়োজন ।ক্যান্সার ‘মরণ ব্যাধি’ এটা আমরা সকলেই জানি। আর এই মরন ব্যাধিও যে প্রতিরোধ করা যায় এটা হয় তো অনেকে বিশ্বাস করতে চাই না।
কিন্তু এই মরণব্যাধিও প্রতিরোধ করা সম্ভব কিছু খাবারের মাধ্যমে। শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। দিন যত যাচ্ছে ততই রোগের প্রতিকারের নিত্যনতুন গবেষণা ও চিকিৎসায় পরিবর্তন আসছে।
তবে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আগে তা সমাধান করাইসবচেয়ে বেশি উত্তম হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে ডাক্তাররা পুষ্টিকর খাদ্যের মাধ্যমেই বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের কথা বলছেন।
এমন কিছু খাবার আছে যা মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো রাখা হলে এবং তার সাথে নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব।
ক্যান্সার অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ হচ্ছে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পরে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোন ও চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না।
ক্যান্সার একটি মারাত্মক মরণব্যধি এই মারাত্মক মরণব্যধি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের ক্যান্সার সম্পর্কে জানতে হবে। ক্যান্সার চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল তাই সচেতনতা বাড়াতে হবে।
আসুন আমরাএই অ্যাপটি থেকে ক্যান্সার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি এবং ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় জেনে নেই।
এই ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার Application টি আপনাদের কেমন লাগলো ভালো/মন্দ অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ!