আমরা এমনসব নাম নির্বাচন করে ফেলি যেগুলো আদৌ ইসলামী নামের আওতাভুক্ত নয়। শব্দটি আরবী অথবা কুরআনের শব্দ হলেই নামটি ইসলামী হবে তাতো নয়। কুরআনে তো পৃথিবীর নিকৃষ্টতম কাফেরদের নাম উল্লেখ আছে। ইবলিস, ফেরাউন, হামান, কারুন, আবু লাহাব ইত্যাদি নাম তো কুরআনে উল্লেখ আছে; তাই বলে কী এসব নামে নাম বা উপনাম রাখা সমীচীন হবে!?
ব্যক্তির নাম তার স্বভাব চরিত্রের উপর ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে বর্ণিত আছে।
শাইখ বকর আবু যায়েদ বলেন, “ঘটনাক্রমে দেখা যায় ব্যক্তির নামের সাথে তার স্বভাব ও বৈশিষ্ট্যের মিল থাকে। এটাই আল্লাহর তা‘আলার হেকমতের দাবী। যে ব্যক্তির নামের অর্থে চপলতা রয়েছে তার চরিত্রেও চপলতা পাওয়া যায়। যার নামের মধ্যে গাম্ভীর্যতা আছে তার চরিত্রে গাম্ভীর্যতা পাওয়া যায়। খারাপ নামের অধিকারী লোকের চরিত্রও খারাপ হয়ে থাকে। ভাল নামের অধিকারী ব্যক্তির চরিত্রও ভাল হয়ে থাকে।”
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারো ভাল নাম শুনে আশাবাদী হতেন। হুদাইবিয়ার সন্ধিকালে মুসলিম ও কাফের দুইপক্ষের মধ্যে টানাপোড়নের এক পর্যায়ে আলোচনার জন্য কাফেরদের প্রতিনিধি হয়ে সুহাইল ইবনে ‘আমর নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে এল তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুহাইল নামে আশাবাদী হয়ে বলেন: “সুহাইল তোমাদের জন্য সহজ করে দিতে এসেছেন।”
সুহাইল শব্দটি সাহলুন (সহজ) শব্দের ক্ষুদ্রতানির্দেশক রূপ। যার অর্থ হচ্ছে- অতিশয় সহজকারী। বিভিন্ন কবিলার ভাল অর্থবোধক নামে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশাবাদী হওয়ার নজির আছে। তিনি বলেছেন:
“গিফার (ক্ষমা করা) কবিলা তথা গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিন। আসলাম (আত্মসমর্পণকারী/শান্তিময়) কবিলা বা গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ শান্তি দিন।"
আসুন আমরা সবাই ইসলামিক নাম রাখতে একে অপরকে সহযোগীতা করি
আমাদের অ্যাপটিতে যা যা থাকছে তার নিন্মরূপ:-
→ শিশুদের ইসলামিক নাম
→ শিশুদের সুন্দর নাম
→ ইসলামী ও উত্তম নাম
→ নাম রাখার নিয়মাবলী
→ ভাল ও মন্দ নামের প্রভাব
→ তাহনীক ও আকীকা
→ আল্লাহর ৯৯টি নাম, অর্থ ও ব্যাখা
→ আল্লাহর নামে মিল রেখে নাম
→ নবী ও রাসূলগণের নাম
→ শিশুদের ইসলামিক নামের বই
→ সাহাবি গনের নাম
→ ছেলে শিশুর সুন্দর নাম
→ মেয়ে শিশুর সুন্দর নাম
→ ছেলে শিশুর ইসলামিক নাম
→ মেয়ে শিশুর ইসলামিক নাম
→ মহিলা সাহাবীবর্গের নাম
→ সুন্দর নামের বই
আশাকরি আপনার মূল্যবান কমেন্টস ও রেটিং দিয়ে আমাদের উতসাহিত করবেন। ধন্যবাদ।