Bengali Tafsir of Al-Quran
তাফসীর ইবন কাসীর হচ্ছে কালজয়ী মুহাদ্দিস মুফাসসির যুগশ্রেষ্ঠ মনীষী আল্লামা হাফিয ইবন কাসীরের একনিষ্ঠ নিরলস সাধনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের অমৃত ফল। তাফসীর জগতে এ যে বহুল পঠিত সর্ববাদী সম্মত নির্ভরযোগ্য এক অনন্য সংযোজন ও অবিস্মরণীয় কীর্তি এতে সন্দেহ সংশয়ের কোন অবকাশ মাত্র নেই।
হাফিজ ইমাদুদ্দীন ইবন কাসীর এই প্রামাণ্য তথ্যবহুল, সর্বজন গৃহীত ও বিস্তারিত তাফসীরের মাধ্যমে আরবী ভাষাভাষীদের জন্য পবিত্র কালামের সত্যিকারের রূপরেখা অতি স্বচ্ছ সাবলীল ভাষায় তুলে ধরেছেন তাঁর ক্ষুরধার বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে।
এসব কারণেই এর অনবদ্যতা ও শ্রেষ্ঠত্বকে সকল যুগের বিদগ্ধ মনীষীরা সমভাবে অকপটে এবং একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন। তাই এই সসাগরা পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে, সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের, এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষায়তনের গ্রন্থাগারেও সর্বত্রই এটি বহুল পঠিত, সুপরিচিত, সমাদৃত এবং হাদীস-সুন্নাহর আলোকে এক স্বতন্ত্র মর্যাদার অধিকারী।
প্রায় দেড় যুগ পরিশ্রমের পর ১৯৮৪ সালে ড. মুহাম্মাদ মুজীবুর রাহমান তাফসীরটির বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। তাফসীর খন্ডগুলিতে যে ইসরাঈলী রিওয়ায়াত এবং দুর্বল কিংবা যঈফ হাদীস রয়েছে তা বাছাই করে বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি তাফসীর খন্ডে, বিষয়বস্ত্তর উপর লক্ষ্য রেখে, তাফসীরের বিভিন্ন শিরোনাম সংযোজন করা হয়েছে, যাতে পাঠকবর্গের নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের আলোচনা খুঁজে পেতে সুবিধা হয়। এ ছাড়া বর্ণিত হাদীসের সূত্র নম্বরগুলিও সংযোজন করা হয়েছে।
কুরআনের কোন কোন শব্দ বাংলায় লেখা কিংবা উচ্চারণ সঠিক হয়না বিধায় তার আরাবী শব্দটিও পাশে লিখে দেয়া হয়েছে। তাফসির ইবনে কাসির বাংলা এটি মূলত আল কোরআন এর তাফসীর।
তাফসিরে ইবনে কাসির এ কোরআরেন ১১৪ টি সূরার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তাফসির ইবনে কাসির এই বই আল কুরআন এর বিশদ বিবরণ । কোরআন শরীফ এর বাংলা বিবরণ।
কুরআনের তাফসীর বললেই সবার আগে যে তাফসীরগুলোর নাম উঠে আসে তার মধ্যে বিখ্যাত তাফসীরগুলোর একটি হচ্ছে তাফসীরে জালালাইন। তাফসীর ইবনে কাসির, তাফসির ফি যিলালিল কুরআন, তাফসীরে তাবারী, তাফসীরে মারেফুল কুরআন ,তাফহীমুল কোরআন এর মতো তাফসীর জালালাইন একটি বিখ্যাত তাফসির।
মহাগ্রন্থ আল কোরআন মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে গোটা মানবজাতির জন্য হেদায়াতের উৎস। কুরআন মাজিদের ভাষা বুঝতে হলে , কোন আয়াত কোন প্রেক্ষাপটে নাযিল হয়েছে তা জানতে হলে কুরআনের তাফসীর জানা আবশ্যক।
তাফসীরে জালালাইন বাংলা তাফসীর গুলোর মধ্যে গ্রহনযোগ্যেতার শীর্ষে। কুরআন থেকে হেদায়েত প্রাপ্ত হলে, হেদায়েতের আলোতে নিজেকে আলোকিত করতে হলে কুরআনকে বুঝতে হবে।
আর কুরআন বুঝতে হলে কুরআনের তাফসির অধ্য়য়ন করা আবশ্যক। আপনি যদি ফিকহ শাস্ত্র নিয়ে গবেষণা করতে চান তাহলে তাফসিরে ইবনে কাসির জানা আপনার জন্যে অপরিহার্য।
পবিত্র কুরআনের তাফসীর জানার ক্ষেত্রে আল্লামা জালায়ুদ্দীন সুয়ূতী ও জালালু ওদ্দিন মহল্লী (রহ.) এর প্রনীত তাফসীরে জালালাইন গ্রন্থটি একটি প্রাথমিক ও পূর্ণাঙ্গ বাহন।
রচনাকাল থেকে সকল ধারার মাদ্রাসা ও কুর’আন গবেষণাকেন্দ্রে এই মূল্যবান তাফসিরটি সমভাবে সমাদৃত।কারণ বাহ্যিক বিচারে এটি সংক্ষিপ্ত তাফসীর হলেও গভীর দৃষ্টিতে এটি সকল তাফসীরের সারনির্যাস।
হাজার হাজার পৃষ্ঠাব্যাপী রচিত কোন তাফসির গ্রন্থের অনেক পৃষ্ঠা অধ্যয়ন করে অতি কষ্টে যে তথ্যের খোঁজ পাওয়া যায়, তাফসীরে জালালাইনে আয়াতের ফাকে ফাকে স্থান পাওয়া এক-দুই শব্দেই তা মিলে যায় যেন মহাসমুদ্রকে ক্ষুদ্র পেয়ালায় ভরে দেওয়া হয়েছে।
একাধিক সম্ভাবনাময় ব্যাখার মধ্যে সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও প্রাধান্যপ্রাপ্ত ব্যাখাটি কোন প্রকার অনুসন্ধান ছাড়াই অনায়াসে পাওয়া যায়।
এই আল-কুরআনের বাংলা তাফসীর Application টি আপনাদের কেমন লাগলো ভালো/মন্দ অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ!