কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

neoapps

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

Libros y obras de consulta
  • 0.00
(0 votos)

Instalar gratis

10000

Instalaciones de aplicaciones

Android 4.4+

Versión mínima

Con anuncios

Anuncio

28.03.2016

Fecha de lanzamiento

Cambios recientes:

এপ আপডেট করা হয়েছে এবং নতুন কন্টেন্ট যুক্ত করা হয়েছে

Descripción:

বাতাসে লাশের গন্ধ কিংবা ভালো আছি ভালো থেকো এই দিয়েই আমরা বোধয় জানি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ কে, যদিও এর বাইরে আরো অনেক পরিচয় তাঁর আছে। এর বাইরে আরো বেশি কিছুই তিনি সৃষ্টি করেছেন মাত্র পঁয়ত্রিশ বছর শারিরীকভাবে বেঁচে থাকা এই কবি।
দ্রোহ ও প্রেমের কাব্যভাষা নির্মাণে অনন্য এবং অসাধারণ কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে জন্ম নেয়া এই অকালপ্রয়াত শিল্পশ্রষ্টা দেশ ও জাতি, মাটি ও মানুষ, মানবিকতা ও নান্দনিকতার কালকুশলী সংশ্লেষে তাঁর সৃষ্টিজীবনকে তাৎপর্যময় করেছে যুপসত্যের সংগ্রামমুখর দ্বন্দাবর্তে।
তাঁর জনপ্রিয় কবিতার মধ্যে অন্যতম ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’, ‘এক গ্লাস অন্ধকার’, ‘ভালবাসার সময় তো নেই’, ‘নপুংসুক কবিদের প্রতি’। বিতর্কিত বাংলাদেশি নারীবাদী লেখিকা (?) তসলিমা নাসরিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৮১ সালে এবং ১৯৮৬ সালে তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে।

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, একটি পরাক্রম প্রতিবাদী চেতনার ঝাঁঝালো মিছিল, মাত্র ৩৫ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে জীবদ্দশায় সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ভালো আছি ভালো থেকো সহ অর্ধ-শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন।
ঢাকা ওয়েস্ট হাইস্কুল থেকে ১৯৭৩ সালে এসএসসি এবং ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্সসহ এমএ পাস করেন। ক্লাসের ব্যাক বেঞ্চার কিন্তু শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর। সক্রিয়ভাবে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন সাথে যুক্ত ছিলেন। ডাকসুর ইলেকশনে হেরেছিলেন আপন বন্ধুর কাছে। পরিপূর্ণ বাউন্ডুলে এই কবির বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা ছিল তার নিজেরও অজানা। ছিলেন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম অংশীদার। আর এই আন্দোলনের খাতিরেই গড়ে তোলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। স্বৈরাচারী এরশাদ ও তার ভাড়াটে কবিরা ঢাকায় যখন এশীয় কবিতা উত্সব নামে শব্দ ও প্রতিবাদকে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে দমন করার ব্যর্থ আয়োজনে ম্যতকার শুরু করে, বিপরীতে রুদ্র দাঁড়িয়ে যান ‘জাতীয় কবিতা উত্সব’ নিয়ে।

কবিতা, গল্প, কাব্যনাট্য, প্রবন্ধ, গান যেখানেই শিল্প-সাহিত্য সেখানেই রুদ্র। কবিতা আর বিদ্রোহ ছিলো রক্তে। স্বরচিত কবিতা আবৃতির মাধ্যমে কবিতাকে জনপ্রিয় করে তোলা, প্রতিবাদের মাধ্যম হিশেবে কবিতার ব্যবহার বলতে গেলে যাঁদের হাত দিয়ে এসেছে তাঁদের মধ্যে রুদ্র সামনের সারির একজন। নিজের পরিচয় কবি দিয়েছেন এভাবেই- “আমি কবি নই- শব্দশ্রমিক/শব্দের লাল হাতুড়ি পেটাই ভুল বোধে ভুল চেতনায়। জীবনকে নিয়ে রুদ্র অনেক খেলেছেন, জীবনকে উল্টে-পাল্টে চিবিয়ে খেয়েছেন, হেলাফেলা করেছেন কিন্তু কবিতা নিয়ে কখনো করেননি। করেননি কোনো আপোষ। রচনা রীতিতে ছিল নিজস্ব ঢং, নিজস্ব বানান রীতি। কবিতায় তিনি সুস্থ ছিলেন, নিষ্ঠাবান, স্বপ্নময়।
আজকের এই ক্রান্তিকালীন দুঃসময়ে রুদ্র’র কবিতা একদিকে যেমন অনুপ্রেণার উৎস অন্যদিকে তেমনি দিক-নির্দেশকও। উনার উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহঃ উপদ্রুত উপকূল (১৯৭৯), ফিরে পাই স্বর্ণগ্রাম (১৯৮২), মানুষের মানচিত্র (১৯৮৪), ছোবল (১৯৮৬), গল্প (১৯৮৭), দিয়েছিলে সকল আকাশ (১৯৮৮), মৌলিক মুখোশ (১৯৯০)

neoapps Otras aplicaciones de

Descargar