১। নতুন তথ্য সংযোজন করা হয়েছে
ভাষা মানুষকে মনের ভাব প্রকাশ করতে সাহায্য করে আর ব্যাকরণ সেই ভাষাকে সুন্দর, শুদ্ধ ও শৃংখলাবদ্ধ করতে সাহায্য করে। ভাষার গতি ব্যাকরণের উপর নির্ভরশীল নয় তবুও ব্যাকরণ দিয়ে ভাষার পরিবর্তনের নিয়ম নির্ধারণ করা হয়।
ব্যাকরণ মেনেই ধ্বনি বদলে যায়, ভাষাও বদলে যায় এবং ব্যাকরণকেও বদলে যেতে হয়। ব্যাকরণ শব্দের অর্থ বিশেষভাবে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ। বিভিন্নভাবে ব্যাকরণের সংজ্ঞা দেয়া যেতে পারে। যেমন : কোন ভাষায় ‘সঠিকভাবে’ বলা ও লেখার বিদ্যাকে ব্যাকরণ বলে। অথবা ভাষাকে বিশেষভাবে বিশ্লেষণ ও নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মকে ব্যাকরণ বলে। অথবা মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হলো ভাষা আর ভাষাকে শুদ্ধভাবে পড়তে, বুঝতে, লিখতে ও বলতে পারার নিয়মকে ব্যাকরণ বলে। অথবা যে নিয়মে ভাষা সুন্দর, শুদ্ধ ও শৃংখলাবদ্ধ করা যায় এবং ভাষার স্বরূপ, প্রকৃতি ও প্রয়োগরীতি (ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব) সম্পর্কে ধারণা নেয়া যায় তাকে ব্যাকরণ বলে।
ব্যাকরণ হলো ভাষারাজ্যের সংবিধান যা মেনে চলতে হয়। না মানলে শৃঙ্খলা জটে পড়ে-ভাষা পথ হারায়। ‘বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা ব্যবহারিক ব্যাকরণ’ বইতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাকরণ হলো একটি ভাষা আমরা কীভাবে বলি তার নিয়মের সমষ্টি। কীভাবে উচ্চারণ করব তার নিয়ম, কীভাবে শব্দ তৈরি করব তার নিয়ম, শব্দকে জুড়ে কীভাবে পদবন্ধেরূপ দেব তার নিয়ম, আবার পদবন্ধ জুড়ে কীভাবে বাক্য নির্মাণ করব তার নিয়ম। এই নিয়মগুলো আগে থেকে তৈরি থাকে। প্রতিটি মানুষ যে ভাষার উত্তরাধিকার নিয়ে জন্মায় শিশু অবস্থা থেকে তাকে এই নিয়মগুলো আয়ত্ত করতে করতে এগোতে হয়। একসময় এই নিয়মগুলো তার মস্তিষ্কে সুশৃঙ্খলভাবে নিবন্ধ হয়ে যায়। এই মস্তিষ্কস্থিত ব্যাকরণই আমাদের কথা বলতে ও বুঝতে সাহায্য করে।